স্বামীর পছন্দের মার্কায় ভোট না দেওয়ায় পিটিয়ে জখম
পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর দুমকিতে স্বামীর পছন্দের প্রার্থীকে ভোট না দেওয়ার অপরাধে স্ত্রীকে আটকে রেখে দফায় দফায় মারধরের ঘটনা ঘটেছে। গুরুতর আহত ও বন্দিদশা থেকে উদ্ধার করে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের আলগি গ্রামে।
এ ব্যাপারে মঙ্গলবার রাতে দুমকি থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।আহত ও মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পাংগাশিয়া ইউপি নির্বাচনে ১, ২ ও ৩নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য প্রার্থী শাহিদা বেগমের মাইক প্রতীকে ভোট না দেওয়ার অপরাধে স্ত্রী মোসা. সুরাইয়া বেগমকে (২২) সোমবার রাতে বসতঘরের দরজা বন্ধ করে দফায় দফায় মারধর করে স্বামী ইনসান (৩০)। ভোটের দিন সোমবার রাত ৮টা থেকে মঙ্গলবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত টানা দুই দিন ঘরবন্দি রেখে কয়েক দফা মারধর করায় গৃহবধূ সুরাইয়া গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে গৃহবধূর মা-বাবা ও প্রতিবেশীরা মঙ্গলবার বিকাল ৫টায় অবরুদ্ধ দশা থেকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন।
এ ব্যাপারে স্বামী ইনসানের বিরুদ্ধে দুমকি থানায় একটি মামলা হয়েছে। সুরাইয়ার বাবা ফজলু খাঁ বাদী হয়ে অভিযুক্ত জামাই ইনসানকে প্রধান আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন।আহত গৃহবধূ সুরাইয়া বেগম জানান, পাংগাশিয়া ইউপি নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী প্রার্থী তার গর্ভধারিণী মা নাসিমা বেগমের ‘বক মার্কায়’ ভোট দেওয়ায় মাইক প্রতীকের প্রার্থী শাহিদার সমর্থক পাষণ্ড স্বামী ইনসান মৃধা (৩০) তাকে সোমবার ভোট কেন্দ্রে চড়-থাপ্পড় মারে এবং রাতে বাড়িতে এসে কয়েক দফায় মারধর করে ঘরে আটকে রাখে। খবর পেয়ে বাবার বাড়ির লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। তিনি বলেন, আমার মাকে সমর্থন না করে বরং তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর মাইকে ভোট দিতে বলে আমার স্বামী।
যতই কাছের লোক হোক না কেন, কেউ কি নিজের মা-বাবার বিরুদ্ধে অন্য মানুষকে ভোট দিতে পারে? আমিও দেই নাই বলে লোভী পাষণ্ড স্বামীর বর্বরোচিত নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। আমি তার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই। অভিযুক্ত স্বামী ইনসান মৃধা বলেন, রাগের মাথায় কয়েকটা চড় দিয়েছিলাম।
তবে ঘরবন্দি করে শারীরিকভাবে মারপিটের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।দুমকি থানার ওসি মেহেদী হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, হাসপাতালে ভিকটিম চিকিৎসাধীন আছেন। তদন্তপূর্বক অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।