শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:০৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট
বরিশালের নতুন জেলা প্রশাসক খায়রুল আলম সুমন বরিশালের নতুন বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান র‌্যাঙ্কিংয়ে এগোতে ক্যারিবীয় সিরিজে বাংলাদেশকে যা করতে হবে জুলাই সনদ স্বাক্ষরের আগে ভাঙচুর-আগুন, ৯০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা ‘জুলাই সনদে স্বাক্ষরকারীরা গণঅভ্যুত্থান ও জনগণ থেকে ছিটকে গেছে’ জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছেন যেসব নেতা জুলাই সনদ স্বাক্ষর করলেন প্রধান উপদেষ্টা ও রাজনৈতিক নেতারা জুলাই সনদের দিকনির্দেশনা ভবিষ্যৎ বাংলাদেশকে পরিচালনা করবে : আলী রীয়াজ গণঅভ্যুত্থানের ফসল ‘জুলাই সনদ’, নবজন্মের পথে বাংলাদেশ : ড. ইউনূস ক্যান্সার দূরে রাখার ৬ উপায়

বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে সর্বোচ্চ সেবা পাচ্ছেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা

রিপোর্টারের নাম / ২৩৭ টাইম ভিউ
হালনাগাদ : শুক্রবার, ৫ জুলাই, ২০১৯

সরকারের ঘোষনা অনুযায়ী বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে চিকিৎসক পরামর্শ থেকে শুরু করে সংরক্ষিত কেবিন ও শয্যায় থাকা, খাওয়া এবং সকল পরীক্ষা-নিরীক্ষায় বিনা মূল্যে সেবা পাচ্ছেন মুক্তিযোদ্ধারা।

গেল (২০১৮-১৯) অর্থ বছরে এ হাসপাতাল থেকে এমনি বিনা মূল্যে সেবা নিয়েছেন ৫ হাজারের অধিক মুক্তিযোদ্ধা। এর মধ্যে হাসপাতালের বহিঃবিভাগে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার ও অন্তঃ বিভাগ থেকে দের হাজার মুক্তিযোদ্ধা সেবা পেয়েছেন।

পাশাপাশি ওই ৫ হাজার মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে ২ হাজার মুক্তিযোদ্ধা বিনা মূল্যে এনজিওগ্রাম, সিটি স্ক্যানসহ বিভিন্ন রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষা নিরীক্ষা করিয়েছেন বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছেন। সাথে হাসপাতালের রোগী কল্যান সমিতি থেকেও অনেক অসহায় মুক্তিযোদ্ধা বিনা মূল্যে ঔষধ পেয়েছেন। এমনকি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত ৫ লাখ টাকা নির্ধারিত কমিটির ব্যাবস্থাপনার মাধ্যমে খুব শিঘ্রই প্রথমবারে মতো মুক্তিযোদ্ধাদের ফ্রি চিকিৎসার জন্য খরচ করতে যাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

সূত্র মতে, বর্তমান সরকারের সময় মুক্তিযোদ্ধারা সবচেয়ে বেশি রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন। এই সরকারের সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সুযোগ-সুবিধায় বিপ¬ব ঘটেছে। তেমনি চিকিৎসা সেবার ক্ষেত্রে গেল অর্থ বছরে এক অনন্য বিপ¬ব ঘটাতে সক্ষম হয়েছে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ৫হাজারে অধিক বীর মুক্তিযোদ্ধা বিনা মূল্যে সকল ধরনের চিকিৎসা সেবা গ্রহন করেছেন।

যা ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের চেয়ে দ্বীগুন। চলতি অর্থ বছরেও মুক্তিযোদ্ধাদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবার হাড় আরো বৃদ্ধি পেতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে। ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে হাসপাতাল থেকে বিনা মূল্যে চিকিৎসা সেবা নেয়া ৫ হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে বহিঃবিভাগে চিকিৎসা পেয়েছেন সাড়ে ৩ হাজার মুক্তিযোদ্ধা। আর অন্তঃ বিভাগে সংরক্ষিত কেবিন ও শয্যায় থাকা, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের কাছ থেকে চিকিৎসা সেবা গ্রহন, পথ্য বিভাগ থেকে তিন বেলা খাওয়া এবং আপারেশন থিয়েটারে মেজর ও মাইনর অপারেশন করিয়েছেন দের হাজার মুক্তিযোদ্ধা। পাশাপাশি ওই ৫ হাজার মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে প্রায় ২ হাজার মুক্তিযোদ্ধা এনজিও গ্রাম ও সিটিস্ক্যান থেকে শুরু করে এক্স-রে, ইসিজি, প্যাথলোজিক্যাল সকল পরীক্ষা নিরীক্ষা বিনা মূল্যে করাতে সক্ষম হয়েছেন। এদিকে চলতি বছরের মে মাসে বরিশালের মুক্তিযোদ্ধাদের ফ্রি চিকিৎসার জন্য ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

ওই টাকা খরচের বিষয়ে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে মন্ত্রনালয় থেকে অবহিত করার হয়। অবহিতকরণ পরিপত্রে উল্লেখ থাকে যে সেবার মান ও ব্যয় যাচাইয়ের জন্য অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার, মেডিকেল কলেজ হাসপতালের পরিচালক এবং উপপরিচালক, সিটি কর্পোরেশন বা মেয়রের প্রতিনিধি, কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের চেয়ারম্যানের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করতে হবে। কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী ওই অর্থ খরচ করতে হবে।

এমন পরিপত্র পাওয়ার সাথে সাথেই হাসপাতাল পরিচালক ডাঃ মোঃ বাকির হোসেন বিভাগীয় কমিশনার দপ্তর থেকে শুরু করে উলে¬খিত দপ্তর গুলোতে সরাসরি যোগাযোগ এবং একাধিকবার চিঠি প্রেরণ করেছিলেন। কিন্তু ব্যস্ততার কারনে কমিটির বৈঠক না হওয়ায় ওই ৫ লাখ মুক্তিযোদ্ধাদের সেবায় টাকা খরচ করা সম্ভব হয় নি। তবে অর্থ ফেরৎ দেয়াও হয় নি। এ ব্যপারে শেবাচিম হাসপাতালের হিসাব শাখা সূত্রে জানাগেছে, যেহেতু ওই টাকা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনায়ল থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের সেবায় পাঠানো হয়েছে সেহেতু এটি গেলো অর্থ বছরের বাজেটে আওতায় আসে না। তাই ইচ্ছে করলে হাসপাতাল পরিচালক ওই অর্থ ফেরৎ কিংবা কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যানে ব্যায় করতে পারেন। হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ মোঃ বাকির হোসেন বলেন, বর্তমান আওয়ামী সরকারের সময় মুক্তিযোদ্ধারা সবচেয়ে বেশি রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন।

এরই ধারবাহিকতায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও মুক্তিযোদ্ধারা বিনা মূল্যে সকল ধরনের চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন। পূর্বের চেয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সেবার মান আরো বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনায়ল থেকে প্রাপ্ত ৫ লাখ টাকা কমিটির মাধ্যমে খুবই শিঘ্রই প্রথমবারের মতো মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা সেবায় খরচ করার প্রক্রিয়া হাতে নেয়া হয়েছে। কোন অবস্থাতেই মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য পাঠানো অর্থ ফেরৎ যাবে বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর