বরিশাল নগরীতে হৃদয়ের আত্মাহত্যা: বৌয়ের বিরুদ্ধে শাশুড়ির মামলা
বরিশাল নগরীর ৫ নং ওয়ার্ডস্থ মোহাম্মদপুরের ১৩ নম্বর গলির আব্দুল্লাহ হৃদয় নামের যুবক স্ত্রীর অত্যাচারে আত্মাহত্যা করার অভিযোগ উঠেছে ।
পোর্টরোড লেবার সর্দার হৃদয়ের সাথে মাত্র ৫ মাস পূর্বে স্থানীয় মোঃ কামাল বেপারীর মেয়ে মোসা: চাদনী আক্তারের সাথে প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে বিবাহ হয়।
পরিবারের অমতে তারা বিয়ে করলে কিছু দিন পরে উভয় পরিবার তাদের মেনে নেয়। শুরু হয় তাদের সংসার জিবন, কিছু দিন যেতে না যেতে তাদের দুজনের মাঝে টুক টাক ঝগড়া বিবাদ শুরু হয়। এরকমের চলতেই থাকে দিন নেই রাত নেই ছোট খাটো বিষয় নিয়ে স্বামীর সাথে লেগেই থাকতো চাদনী।
বিভিন্ন সময় বড় বড় আবদার করতো সে,(চাদনী) আমায় রূপার পায়েল কিনে দেও,প্রতি সপ্তাহে নতুন নতুন পোশাকসহ নানান জিনিস।
ওর সেই এতো আবদার রেখেও প্রানে বাচতে পারলো না আমার হৃদয়,এমনটাই প্রতিবেদকের কাছে চোখে জল নিয়ে ভারি কন্ঠে তুলে ধরলেন হৃদয়ের মা কুলসুম বেগম।
তিনি বলেন আমার একটা মাত্র ছেলে আমি অনেক কষ্ঠ মানুষ করেছি, ছোট্ট ছেলেটাকে ওর বোনের কাছে রেখে আমি জিবন জীবিকার তাগিদে বিদেশে গৃহকর্মির কাজ করেছি। ও বোনের কাছে থেকে বড় হয়েছে।
সেখান থেকেই ওদের পরিচয়। ওই মেয়ের আমার ছেলে ছাড়া আরো অনেক ছেলের সাথে অবৈধ পরিকীয়া সম্পর্ক রয়েছে,সেই কারনেই ও বিভিন্ন চাপ সৃষ্টি করে আমার সোনার টুকরা পোলারে মৃত্যুর পথে ঠেলে দিছে।
গত ৮ মে ভিকটিম(হৃদয়)কে বাসায় একা রেখে পরিবারের অন্য সকল সদস্যরা ইফতারের দাওয়াতে যায়, সেই সময়ে ঘরের আরার সাথে ওড়না পেচিয়ে আত্মাহত্যা করে হৃদয়। এর আগে ঐ মেয়ের সাথে অনেক কথা হয় ওর।
ভিকটিমের মোবাইল ফোনে ওই মেয়ের একাধীক ফোন আলাপ রেকডিং আছে যা অনেক কিছুর প্রমান সরুপ। হৃদয়ের মায়ের দাবি তার ছেলেকে ছেলের বৌ চাদনী আক্তার ও তার পরিবারের লোকজন মানসিক নির্যাতনের কারনে আত্মাহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে ।
তিনি আরো বলেন আমি মনে করি এটা আত্মাহত্যা না হত্যা আমার ছেলেকে ওরা সবাই মিলে হত্যা করেছে। এই কারনেই ছেলে হত্যার বিচারের দাবীতে মামলা করেছি। মামলা সুত্রে জানা গেছে মৃত খলিল মিয়ার স্ত্রী কুলসুম বেগম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন,মামলার নাম্বার ৩৯/২১, কাউনিয়া থানা,বরিশাল ।
মামলায় আসামী করা হয়েছে মোঃ কামাল বেপারী ওরফে হোটেল কামাল (৫০) হৃদয়ের স চাদনী আক্তার (১৯) মো: রফিক ফকির (৩২) ও মোঃ শামীম (২৭)সহ আরো অঙ্গাতনামা রয়েছে অনেক। উভয়ের ঠিকানা বিসিসি ৫ নং ওয়ার্ডের পলাশপুরের মোহাম্মদপুর।
মামলার বিষয়ে কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন মামলা হয়েছে ঘটনাস্থে আমি নিজেই তদন্তে যাবো,তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তি আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।