শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:০৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট
বরিশালের নতুন জেলা প্রশাসক খায়রুল আলম সুমন বরিশালের নতুন বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান র‌্যাঙ্কিংয়ে এগোতে ক্যারিবীয় সিরিজে বাংলাদেশকে যা করতে হবে জুলাই সনদ স্বাক্ষরের আগে ভাঙচুর-আগুন, ৯০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা ‘জুলাই সনদে স্বাক্ষরকারীরা গণঅভ্যুত্থান ও জনগণ থেকে ছিটকে গেছে’ জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছেন যেসব নেতা জুলাই সনদ স্বাক্ষর করলেন প্রধান উপদেষ্টা ও রাজনৈতিক নেতারা জুলাই সনদের দিকনির্দেশনা ভবিষ্যৎ বাংলাদেশকে পরিচালনা করবে : আলী রীয়াজ গণঅভ্যুত্থানের ফসল ‘জুলাই সনদ’, নবজন্মের পথে বাংলাদেশ : ড. ইউনূস ক্যান্সার দূরে রাখার ৬ উপায়

শেবাচিমে বহিরাগত দালালদের দৌরাত্ম্য,অতিষ্ঠ রোগীর স্বজনরা!

রিপোর্টারের নাম / ২২৫ টাইম ভিউ
হালনাগাদ : বৃহস্পতিবার, ৬ মে, ২০২১

খলিফা মাইনুল : বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুনরায় সক্রিয় দালাল চক্র। অসহায় হয়ে পড়েছে রোগীর স্বজনরা। বরিশাল তথা গোটা দক্ষিণাঞ্চলের নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের চিকিৎসা নেওয়ার তীর্থস্থান হলো বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতাল। এখানে দালালদের কাছে অসহায় হয়ে পরে রোগী ও রোগীর স্বজরা। এক হাজার শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে করোনার সময়েও দিনে গড়ে প্রায় ১৪০০-১৫০০ রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। মহামারি করোনা ভাইরাসের সময়ে হাসপাতালের বহি:বিভাগে রোগীর চাপ কম থাকায় এবার দালালরা আস্তানা গেড়েছে প্রতিটি ওর্য়াডে। এতে করে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের পড়তে হচ্ছে চরম ভোগান্তিতে।
 
কোভিড-১৯ পরিস্থিাতিতে এখনো গড়ে দিনে প্রায় দেড় হাজার রোগী ভর্তি হয় । যা এক বেডের অনূকুলে ৩৪ দশমিক ৬৪ ভাগ রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে সকাল থেকেই শেবাচিমের প্রতিটি ওয়ার্ডে দালালদের আনাগোনা দেখা যাচ্ছে। রোগীরা হাসপাতালে ভর্তির পরে ডাক্তারের কক্ষ থেকে বের হওয়ার সাথে সাথেই চিলের মত থাবা দিয়ে কেড়ে নিয়ে যায় রোগীর ফাইল। অসুস্থ রোগীর টলি ধরে টানাহেচরা করে দালাল চক্রের সদস্যরা।
 
সরজমিনে দেখা গেছে, পুরো হাসপাতাল ঘুরে দেখাযায় একই চিত্র। এদের অত্যাচারে শুধু রোগী অতিষ্ঠ নয়, অতিষ্ঠ ওর্য়াডের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও। নাম না প্রকাশ করে এক ওয়ার্ডবয় ও এক আয়া জানান, হাসপাতালের সমূখ্যে থাকা রয়েল সিটির নাদিম,রফিক। লাইফ সিটির আখি, ইমরান।মেডি এইড এর ববি,আরিফ,শোভন। রাহাত আনোয়ারের রুনু।রবিশাল সিটির অজ্ঞাত ২/৩ জন প্রতিনিয়ত প্রতিটি ওয়ার্ডে আস্তানা গেড়ে থাকে এবং রোগী ভর্তির পর থেকে কে কোন ল্যাবে নিবে তা নিয়ে শুরু হয় প্রতিযোগিতা । এদের কাছে জিম্মি রোগী ও তার স্বজনরা ।
 
সার্জারি ওয়ার্ডের রোগী নুর ইসলাম বলেন, অটো দুর্ঘটনায় মাথায় আঘাত নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর ডাক্তার রুম থেকে বেড়ানোর সাথে সাথেই দুই জন লোক হাত থেকে জোরপূর্বক কাগজ নিয়ে যায়। হাসপাতাল থেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাব বলেও বাহিরে নিয়ে যাওয়ার জন্য টানাহেচরা শুরু করে। পরে আমার ছেলে ইব্রাহিম সাংবাদিক পরিচয় দিলে কেটে পরে ঐ দালাল চক্রের সক্রিয় দুই সদস্য।
 
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী রোগীর স্বজনরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষর দৃস্টি আকর্শন করছে। এ নিয়ে হাসপাতাল পরিচালক ডা: এস এম সাইফুল ইসলাম এর সাথে মুঠোফোন আলাপকালে তিনি জানায়, আমি ও এরকম সুনেছি কাল রেজিস্টার ও আর এস দের ডেকে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর