শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৫৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট
বরিশালের নতুন জেলা প্রশাসক খায়রুল আলম সুমন বরিশালের নতুন বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান র‌্যাঙ্কিংয়ে এগোতে ক্যারিবীয় সিরিজে বাংলাদেশকে যা করতে হবে জুলাই সনদ স্বাক্ষরের আগে ভাঙচুর-আগুন, ৯০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা ‘জুলাই সনদে স্বাক্ষরকারীরা গণঅভ্যুত্থান ও জনগণ থেকে ছিটকে গেছে’ জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছেন যেসব নেতা জুলাই সনদ স্বাক্ষর করলেন প্রধান উপদেষ্টা ও রাজনৈতিক নেতারা জুলাই সনদের দিকনির্দেশনা ভবিষ্যৎ বাংলাদেশকে পরিচালনা করবে : আলী রীয়াজ গণঅভ্যুত্থানের ফসল ‘জুলাই সনদ’, নবজন্মের পথে বাংলাদেশ : ড. ইউনূস ক্যান্সার দূরে রাখার ৬ উপায়

ঘর পেয়েও অঝোরে কাঁদলো সেই ফাতিমা!

রিপোর্টারের নাম / ২০২ টাইম ভিউ
হালনাগাদ : শনিবার, ১ মে, ২০২১

বরগুনার বেতাগীতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া পুলিশের এএসআই আবদুল খালেকের পরিবারকে নতুন ঘর উপহার দিয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন। গত বৃহস্পতিবার বেতাগী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে নতুন ঘরের চাবি নিহতের পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেন।

জানা যায়, পুলিশের এই কর্মকর্তা করোনার শুরুতে ২০২০ সালের ৩০ এপ্রিল রাজধানীর একটি হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেণ। কর্মজীবনের ১৬ বছর পুলিশে চাকরি করেও পাকা বাড়ি নির্মান তো দূরের কথা, পুরোনো বাড়িঘর মজবুত করে মেরামতই করতে পারেননি পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আবদুল খালেক (৩৬)। এই অবস্থায় তাঁর আকস্মিক মৃত্যুতে সন্তান নিয়ে অসহায় হয়ে পড়েন স্ত্রী ফাতিমা বেগম। এমন মানবেতর পরিস্থিতি জানার পর বরগুনার তখনকার পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন নিহত এএসআই খালেকের পরিবারের জন্য একটা ছোট বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়ার কথা দেন। সেই স্বপ্ন অবশেষে পূরণ হয়েছে খালেকের পরিবারের। বেতাগী উপজেলার সদর ইউনিয়নের ঝোপখালী গ্রামে বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে খালেকের পরিবারকে তিন লাখ টাকা ব্যয়ে তিন কক্ষবিশিষ্ট একটি টিনশেড পাকাঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে বেতাগী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাখাওয়াত হোসেন তপু খালেকের পরিবারের হাতে নবনির্মিত বাড়ির চাবি হস্তান্তর করেন।

নিহত আবদুল খালেক ২০০৪ সালে কনস্টেবল পদে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন। এরপর সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) হিসেবে পদোন্নতি পান। পরপরই এসআই পদে পদন্নোতি পাওয়ার সকল পরীক্ষাসহ সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এরই মধ্যে আকস্মিক মৃত্যুতে সব এলোমেলো হয়ে যায় পুরো পরিবার।

তাঁর স্ত্রী ফাতিমা বেগম বলেন, ‘পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে সন্তানদের নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ি। এই দুরবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে বাংলাদেশ পুলিশ উদ্যোগ নেওয়ায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। ঈদের আগেই আমার ঘরে ঈদের আনন্দ বইছে। আমার সন্তানদের নিয়ে নিরাপদে স্বস্তিতে থাকতে পারবো।’ তবে বিধাতার পরিহাসে আজ যার জন্য এতকিছু কিন্তু সে আজ বেঁচে নেই বলে কেঁদে দেয় মৃত খালেকের স্ত্রী ফাতেমা বেগম।’
বেতাগী থানার ওসি কাজী শাখাওয়াত হোসেন বলেন,‘ ঢাকার মিরপুর পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে কর্মরত অবস্থায় আবদুল খালেক করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। তাঁদের বাসযোগ্য ভালো বাড়িও ছিল না। তাঁদের দুরাবস্থা দেখে বাংলাদেশ পুলিশের উদ্যোগে তিন কক্ষবিশিষ্ট একটি পাকা বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, ঢাকার মিরপুর পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে কর্মরত এই পুলিশ কর্মকর্তা ২০২০ সালের ৩০ এপ্রিল রাজধানীর একটি হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। পরে তাকে গ্রামের বাড়ি বেতাগীর ঝোপখালিতে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর