আইন অঙ্গনে মতিন খসরুর অবদান ছিল অপরিসীম : মির্জা ফখরুল
সাবেক আইনমন্ত্রী ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি আব্দুল মতিন খসরুর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ বুধবার এক শোকবার্তায় মির্জা ফখরুল আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আব্দুল মতিন খসরুকে দেশের একজন খ্যাতনামা আইনজীবী ও প্রাজ্ঞ রাজনীতিবিদ হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘আইন অঙ্গনে তাঁর অবদান ছিল অপরিসীম। একজন সুদক্ষ ও প্রাজ্ঞ রাজনীতিবিদ হিসেবে দেশের রাজনীতিতেও তিনি ভূমিকা রেখেছেন। তাঁর মৃত্যুতে আমি তাঁর শোকাহত পরিবার-পরিজনদের প্রতি গভীর সহমর্মিতা জ্ঞাপন করছি।’
বিএনপির মহাসচিব শোকবার্তায় মরহুম আব্দুল মতিন খসরুর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্য, আত্মীয়স্বজন, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
কুমিল্লা-৫ (ব্রাহ্মণপাড়া-বুড়িচং) আসনের সংসদ সদস্য মতিন খসরু আজ বুধবার বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।
গত ১৫ মার্চ আবদুল মতিন খসরু সংসদ সচিবালয়ে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন। পরদিন ১৬ মার্চ সকালে তাঁর রিপোর্টে করোনা পজিটিভ আসে। ওইদিনই তাঁকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়। গত ২৮ মার্চ রাত ১২টার দিকে তাঁকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়।
এরপর ১ এপ্রিল আবদুল মতিন খসরুর করোনা পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ আসে। পরে ৩ এপ্রিল আইসিইউ থেকে তাঁকে সাধারণ কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। এরপর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় গত ৬ এপ্রিল তাঁকে আবার আইসিইউতে নেওয়া হয়। পরিস্থিতির আরও অবনতি হলে গতকাল মঙ্গলবার তাঁকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেখান থেকে আর ফিরে আসতে পারেননি আওয়ামী লীগের এই প্রেসিডিয়াম সদস্য।
আবদুল মতিন খসরু গত ১৩ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৫০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মিরপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম মো. আবদুল মালেক ও মা জাহানারা বেগম। তাঁরা চার ভাই ও এক বোন৷ আবদুল মতিন খসরু ব্যক্তিজীবনে এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক।
আবদুল মতিন খসরু ১৯৯১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯১-৯৬ মেয়াদে তিনি আইনমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি ১৯৯৬, ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।