বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:১৫ অপরাহ্ন

মতিন খসরুর অবদান জাতি চিরদিন স্মরণ করবে : রাষ্ট্রপতি

রিপোর্টারের নাম / ১১১ টাইম ভিউ
হালনাগাদ : বৃহস্পতিবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২১

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সাবেক আইনমন্ত্রী ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরুর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

আজ বুধবার এক শোক বার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, ইন্ডেমনিটি অধ্যাদেশ বিলোপ করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনিদের বিচারের পথ উন্মুক্তকরণে মতিন খসরুর অবদান জাতি চিরদিন স্মরণ করবে। পাশাপাশি সংসদীয় গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় তাঁর ভূমিকা দেশের ইতিহাসে চির ভাস্বর হয়ে থাকবে।

আবদুল হামিদ প্রয়াতের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তাঁর শোক-সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

কুমিল্লা-৫ (ব্রাহ্মণপাড়া-বুড়িচং) আসনের সংসদ সদস্য আবদুল মতিন খসরু আজ বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। তাঁর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুল মতিন খসরু গত ১৫ মার্চ সংসদ সচিবালয়ে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন। পরদিন ১৬ মার্চ সকালে তাঁর রিপোর্টে করোনা পজিটিভ আসে। ওইদিনই তাঁকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়। গত ২৮ মার্চ রাত ১২টার দিকে তাঁকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়।

এরপর ১ এপ্রিল আবদুল মতিন খসরুর করোনা পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ আসে। পরে ৩ এপ্রিল আইসিইউ থেকে তাঁকে সাধারণ কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। এরপর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় গত ৬ এপ্রিল তাঁকে আবার আইসিইউতে নেওয়া হয়। পরিস্থিতির আরও অবনতি হলে গতকাল মঙ্গলবার তাঁকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেখান থেকে আর ফিরে আসতে পারেননি তিনি।

আবদুল মতিন খসরু গত ১৩ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৫০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মিরপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম মো. আবদুল মালেক ও মা জাহানারা বেগম। তাঁরা চার ভাই ও এক বোন৷ আবদুল মতিন খসরু ব্যক্তিজীবনে এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক।

আবদুল মতিন খসরু ১৯৯১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯১-৯৬ মেয়াদে তিনি আইনমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি ১৯৯৬, ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। চলতি সংসদে তিনি আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ছিলেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর