তালতলীতে স্কুল ছাত্রী ধর্ষণ, ধর্ষক গ্রেফতার
বরগুনার তালতলীতে বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টার সময় গেন্ডামারা গ্রামের এক মুগ ডাল ক্ষেতে ৭ শ্রেণীর এক মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে।
ধর্ষক কামাল হোসেন (২৫) কে গ্রেফতার করে শনিবার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছে তালতলী থানা পুলিশ। ধর্ষক কামাল উপজেলার চন্দনতলা গ্রামের মোতালেব মুন্সীর ছেলে।
জানা গেছে, তালতলী উপজেলার ছোটবগী ইউনিয়নের গেন্ডামারা গ্রামের ৭ শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রী শুক্রবার দুপুর ১২ টার সময় ধর্ষণের শিকার হয়েছে।
ওইদিন মেয়েটির মা তার বাবার বাড়ি বেড়ানো শেষে নিজ বাড়ির দিকে রওয়ানা হয়। এসময় মেয়েটি তার মাকে পথ থেকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য রাস্তা ধরে হেটে মামা বাড়ির দিকে যাচ্ছিল।
এসময় চন্দনতলা গ্রামের মোতালেব মুন্সির ছেলে কামাল হোসেন তার পিছু নেয়। একপর্যায়ে খালি রাস্তা পেয়ে কামাল হোসেন ওই স্কুল ছাত্রীর পেছন থেকে ঝাপটে ধরে একটি মুগ ডাল ক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণ করে।
এসময় মেয়েটির ডাক-চিৎকার দিলে ধর্ষক কামাল দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে মেয়ের মা শুক্রবার বিকেলে তালতলী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে কামালকে আসামী করে মামলা করে।
তালতলী থানার পুলিশ মামলার পরপরই শুক্রবার সন্ধ্যায় ছোট বগী বাজারে অভিযান চালিয়ে ধর্ষক কামলকে গ্রেফতার করে।
ছাত্রীর মা বলেন, কামাল প্রায়ই আমার মেয়েকে উত্যক্ত করত। ঘটনার দিন আমার মেয়ে আমাকে এগিয়ে নিতে এসে ধর্ষণের শিকার হয়। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় থানায় একটি ধর্ষণ মামলা হয়েছে।
ধর্ষক কামালকে গ্রেফতার করে শনিবার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া মেয়েটিকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য বরগুনার জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।







