‘জলবায়ু পরিবর্তন উপমহাদেশের দেশগুলোকে নাজুক করেছে’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বৈশ্বিক উষ্ণায়ন, জলবায়ুর পরিবর্তন উপমহাদেশের দেশগুলোকে সবচেয়ে বেশি নাজুক করে তুলেছে। জলবায়ু পরিবর্তনে আমাদের কোনো ভূমিকা নেই, তারপরও আমরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত।’
সোমবার (২২ মার্চ) রাজধানীর প্যারেড গ্রাউন্ডে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অভিযোজনের মাধ্যমে সাময়িকভাবে নিজেকে রক্ষা করতে পারি, কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের বর্তমান ধারা বন্ধ করা না গেলে অভিযোজন প্রক্রিয়া দীর্ঘস্থায়ী সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হবে।’
ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) বর্তমান সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্ব নেতাদের জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় দ্রুত উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আসছে, উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘গতবছর ঢাকায় গ্লোবাল ক্লাইমেট অ্যাডাপটেশন, বাংলাদেশের অফিস চালু করা হয়েছে। ঢাকা অফিস দক্ষিণ এশিয়ায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবজনিত ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় কী কী করণীয়, তা খুঁজে বের করা এবং যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করার কাজ ইতোমধ্যে শুরু করেছে।’
তিনি বলেন, ‘এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, দক্ষিণ এশিয়ার বিশাল সংখ্যক মানুষ এখনও দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে। বিপুল সংখ্যক মানুষ এখনও অর্ধাহারে বা অনাহারে থাকে। অনেকে জীবনধারণের ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা থেকেও বঞ্চিত। তবে দক্ষিণ এশিয়ায় যে প্রাকৃতিক সম্পদ আছে, তা যথাযথভাবে ব্যবহার করে এ অঞ্চলের মানুষের দারিদ্র্য দূর করা সম্ভব। একে অপরের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে এ অঞ্চলকে দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত অঞ্চল হিসেবে গড়ে তোলার প্রয়াস আমরা অব্যাহত রাখব।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা এমন একটি অঞ্চলে বাস করি, যেখানে প্রতিনিয়ত আমাদের প্রাকৃতিক দুর্যোগের মোকাবিলা করতে হয়। আমাদের ওপর প্রতিনিয়ত আঘাত আসে। তাই আমরা মনে করি যে, প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ এলাকা হিসেবে বিবেচিত দক্ষিণ এশিয়াকে আরও যত্নবান হতে হবে।’
নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভান্ডারি অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘তার উপস্থিতি এই অনুষ্ঠানের মর্যাদা বহুগুণ বৃদ্ধি করেছে। আমরা নিজেরা সম্মানিত হয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘নেপালের মহামান্য রাষ্ট্রপতি জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ায় আমি নিজের এবং আমার ছোট বোন রেহানার পক্ষ থেকে, আমার সরকারের পক্ষ থেকে এবং আমাদের জনগণের পক্ষ থেকে তাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’