বাংলাদেশের অগ্রগতি ও শেখ হাসিনার প্রশংসায় বিদ্যা দেবী
বাংলাদেশের অর্থনীতির অগ্রগতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেছেন নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারী।
নেপালের প্রেসিডেন্ট বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বিকাশ ও উন্নতি ঘটেছে এবং বাংলাদেশ দারিদ্র্যমুক্ত হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের জীবনমানের পরিবর্তন দেখে মিত্ররাষ্ট্র হিসেবে নেপাল অত্যন্ত আনন্দিত।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ‘মুজিব চিরন্তন’ অনুষ্ঠানের ষষ্ঠ দিনের আয়োজনে সোমবার অতিথি হিসেবে যোগ দেন বিদ্যা দেবী ভান্ডারী। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও ছিলেন।
বিদ্যা দেবী বলেন, তিনি বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যাই শুধু নন, তিনি একই সঙ্গে এই অঞ্চলের একজন যোগ্য নারী নেতা হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছেন।
বাংলাদেশের সঙ্গে নেপালের ভৌগোলিক, সাংস্কৃতিকসহ অন্যান্য নৈকট্যের কথা তুলে ধরার পাশাপাশি জন্মলগ্নের সম্পর্কের কথাও বলেন নেপালের প্রথম নারী রাষ্ট্রপ্রধান।
তিনি বলেন, আমি মনে করি, বাংলাদেশের ক্রমাগত অগ্রগতিই জাতি গঠনে বঙ্গবন্ধুর অবদানের প্রতি যথাযোগ্য সম্মান প্রদর্শন।
নেপালের প্রেসিডেন্ট বলেন, বঙ্গবন্ধুর অবিরাম সংগ্রাম বাংলাদেশের জন্ম দিয়েছে। যার জন্য অবিচল নেতৃত্ব ও নিরবচ্ছিন্ন চেষ্টা ছিল তার। সেজন্য তাকে ১৯৬৯ সালে বঙ্গবন্ধু উপাধি দিয়েছিল সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ, যা গোটা জাতি তাৎক্ষণিকভাবে মেনে নিয়েছিল।
‘বাংলা ভাষার জন্য গভীর ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা ছিল বঙ্গবন্ধুর। এ কারণে জনগণকে নিয়ে বাংলা ভাষাকে রক্ষা ও প্রসারে অগ্রগামী ভূমিকায় ছিলেন তিনি। নিপীড়িত, বঞ্চিত ও দরিদ্র মানুষের জন্য গভীর সহমর্মিতা ছিল তার।
বঙ্গবন্ধুর ’সোনার বাংলা’র স্বপ্নের সঙ্গে নেপালের ‘সমৃদ্ধ নেপাল, সুখী নেপালি’ সংকল্পের মিল থাকার কথা জানিয়ে প্রেসিডেন্ট ভান্ডারী বলেন, নেপালকে সমৃদ্ধ দেশ করার জন্য আমাদের সব কার্যক্রম। আমি বিশ্বাস করি, উন্নয়নের মাধ্যমে নেপাল ও বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার আর্থ-সামাজিক অগ্রগতিতেও ভূমিকা রাখবে।
স্বাধীনতার পর বাংলাদেশকে স্বীকৃতিদাতা দেশগুলোর মধ্যে নেপাল ছিল ষষ্ঠ। সে কথা স্মরণ করে দেশটির প্রেসিডেন্ট বলেন, স্বাধীনতার পর খুব অল্প সময়ের শাসনে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছেও বাংলাদেশকে নিয়ে গিয়েছিলেন।