ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সকল স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়া হবে। এসএসসি ও এইচএসসি’র  শিক্ষার্থীদের ক্লাসে বসিয়ে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস পড়িয়ে পরীক্ষার জন্য তাদের প্রস্তুত করানো হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

 

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে (এনসিটিবি) সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরির এক সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী জানান, পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে যদি আমরা ফেব্রুয়ারির মাঝামঝি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলতে পারি তবে আগামী শবে কদরের আগে পর্যন্ত সাপ্তহিক ছুটি ছাটা বাদ দিলে এসএসসির শিক্ষার্থীদের ৬০ দিন ক্লাস নেওয়া সম্ভব হবে। সপ্তাহে ৬ দিন করে ক্লাস নিয়ে গড়ে তারা প্রতিটি বিষয়ের ৩০টি করে ক্লাস পাচ্ছে। তার মধ্যে কতটুকু পড়ানো যায় শিক্ষার্থী কতোটুকু নিতে পারে, সে বিষয়টি বিবেচনায় রেখে নবম-দশম শ্রেণির পুরো সিলেবাসে নেওয়া ও জানা জরুরি ততটুকু নিয়ে তাদের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরি করা হবে।

মন্ত্রী জানান, সিলেবাস শেষ করে শ্রেণি শিক্ষক ক্লাসে বিষয় ভিত্তিক পরীক্ষা নিবেন। শিক্ষার্থী কতটুকু শিখছে তা ক্লাসে ঝালাই হয়ে যাচ্ছে। পরীক্ষার বিষয়টি সিলেবাসে উল্লেখ করা হবে। এজন্য শিক্ষার্থীদের কাছে কোনো ধরনের অর্থ আদায় করা যাবে না। ৯ মে ফরমাল ক্লাস শেষ করা হবে। ক্লাসে সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাক্স পরে ক্লাসে আসতে হবে। এসএসসি ও এইচএসসি’র প্রায় ৩৫ লাখ শিক্ষার্থীর ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে স্কুল খোলা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।

 

শিক্ষামন্ত্রী জানান, ঈদের পরে ১৮ মে থেকে স্কুলগুলো খোলা থাকবে সেখান থেকে জুনে এসএসসি’র সময়সূচি প্রকাশ করা হবে পরীক্ষা শুরু আগে স্কুলগুলো তাদের কোনো টেস্ট, প্রি-টেস্ট, মগটেস্ট বা যেকোনো নামে প্রস্তুতিমূলক পরীক্ষা নিতে পারবে। সে পরীক্ষার ফলের মূল্যায়নে অথবা শ্রেণি শিক্ষকের মূল্যায়নের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের এসএসসি’র বোর্ড পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হবে। আপাতত শুধু ক্লাস শুরু করা হবে, কেউ কোনো ধরনের পরীক্ষা নিতে পারবে না।

শিক্ষামন্ত্রী জানান, এইচএসসি’র ক্ষেত্রে আমরা ১৬ জুন পর্যন্ত ক্লাস করাতে পারলে তারা ৮৪ দিন ক্লাস পাবে, ৫০৪ ক্লাস হবে। বিষয়ভিত্তিক গড়ে ৩৮টির মতো ক্লাস নেওয়া সম্ভব হবে। সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে সকল বিষয় উল্লেখ করা থাকবে। এসএসসি’র মতো করে কয়েকটি অধ্যায় শেষ করে ক্লাস পরীক্ষা নেবেন শ্রেণি শিক্ষক। পরীক্ষায় ফলাফলের ভিত্তিতে বোর্ড পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। এর বাহিরে যদি কেউ টেস্ট বা প্রি-টেস্ট নিতে চায় আমরা পরিস্থিতির ওপর তাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিবো। এইচএসসি’র তত্ত্বীয় বিষয়ের সঙ্গে ব্যবহারিকেরও সিলেবাসও কমানো হবে। জুলাইয়ে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here