শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৪২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট
বরিশালের নতুন জেলা প্রশাসক খায়রুল আলম সুমন বরিশালের নতুন বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান র‌্যাঙ্কিংয়ে এগোতে ক্যারিবীয় সিরিজে বাংলাদেশকে যা করতে হবে জুলাই সনদ স্বাক্ষরের আগে ভাঙচুর-আগুন, ৯০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা ‘জুলাই সনদে স্বাক্ষরকারীরা গণঅভ্যুত্থান ও জনগণ থেকে ছিটকে গেছে’ জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছেন যেসব নেতা জুলাই সনদ স্বাক্ষর করলেন প্রধান উপদেষ্টা ও রাজনৈতিক নেতারা জুলাই সনদের দিকনির্দেশনা ভবিষ্যৎ বাংলাদেশকে পরিচালনা করবে : আলী রীয়াজ গণঅভ্যুত্থানের ফসল ‘জুলাই সনদ’, নবজন্মের পথে বাংলাদেশ : ড. ইউনূস ক্যান্সার দূরে রাখার ৬ উপায়

রাজাপুরে মাঠজুড়ে হলুদের সমারোহ, কৃষকের মুখে হাসি

রিপোর্টারের নাম / ১৯৬ টাইম ভিউ
হালনাগাদ : বৃহস্পতিবার, ২৮ জানুয়ারি, ২০২১

ঝালকাঠির রাজাপুরে দিগন্ত জোড়া মাঠে সরিষার হলুদ ফুলে কৃষকের স্বপ্ন রঙিন হয়েছে। চারদিকে সরিষার ক্ষেত যেন বাতাসে দুলছে। আর এ কারনে কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক। যেমনি সরিষার বাম্পার ফলন তেমনি ফুলের মধু গ্রামীন অর্থনীতিতে সম্ভাবনার হাতছানি দিচ্ছে।

বিশেষ করে উপজেলার বামনকাঠি এলাকায় মাঠজুড়ে সরিষা ক্ষেত। যতদুর চোখ যায় হলুদ গাদা ফুলের ন্যায় সুসাজে সজ্জিত ফসলের মাঠ।

কৃষক অক্রান্ত পরিশ্রম করে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে মাটি চষে ফসল ফলায়। কৃষক চাষ শেষে আশায় বুক বেধে চেয়ে থাকে মাঠের পানে।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবারে চলতি মৌসুমে উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে মোট ৭১ হেক্টর জমিতে বিনা- ৮, বারি ১৪, ১৫ ও ১৭ জাতের সরিষার আবাদ হয়েছে যা গত বছরের চেয়ে দ্বিগুন।

এবারে হেক্টর প্রতি ২০-২২ মণ সরিষা উৎপাদন হবে বলে আশা করছেন উপজেলা কৃষি অফিস। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাঠে মাঠে শুধুই যেন হলুদের সমারোহ সরিষার হলুদ ফুলে ছেয়ে গেছে বামনকাঠির দিগন্ত জোড়া মাঠ।

ক্ষেতে গুন গুন করছে মৌমাছি। সরিষার ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করতে ব্যস্ত মৌমাছির ঝাঁক। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সরিষার বাম্পার ফলনের আশা করছেন এলাকার চাষীরা।

উপজেলার বামনকাঠি এলাকার চাষী আ: আজিজ হাওলাদার বলেন, স্বল্প সময়ে স্বল্প খরচে অন্যান্য ফসলের তুলনায় সরিষা চাষে অধিক মুনাফা থাকায় কয়েক বছর যাবৎ সরিষার আবাদ করছি। এ বছরেও প্রায় ৬৫ শতাংশ জমিতে এ লাভ জনক ফসলটি আবাদ করেছি।

একই এলাকার কৃষক খলিল হাওলাদার বলেন, প্রতিবছরই তারা এখানে সরিষা আবাদ করে থাকেন কাছাকাছি পানির ব্যবস্থা না থাকায় জমিতে সেচ দিতে তাদের খুব কষ্ট হচ্ছে। তাই তিনি সেচের ব্যবস্থার দাবী জানান সরকারের কাছে।

কৃষক সাকায়েত বলেন, সরিষা চাষে সার কম প্রয়োগ করতে হয়। সেচ, কীটনাশক ও নিড়ানি তেমন লাগে না। একেবারই খরচ কম ও অল্প সময়ে এ ফসল ঘরে তোলা যায়। বর্তমান বাজারে দামও ভাল।

উপজেলা সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, সরিষার রোগ বালাই দমনে মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের নানা পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এ বছরে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রিয়াজ উল্লাহ বাহাদুর বলেন, চলতি মৌসুমে উপজেলায় রেকর্ড পরিমাণ জমিতে সরিষার চাষ করা হয়েছে। কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে চাষিদের সার, বীজ ও কীটনাশক সহ আর্থিক সহযোগিতা করা হয়েছে। তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সরিষার আবাদ থেকে কৃষকরা বাড়তি মুনাফা আয় করতে পারবেন বলে আশা করেন তিনি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর