শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:১৫ পূর্বাহ্ন

৭০ হাজার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করলো টুইটার

রিপোর্টারের নাম / ১০৮ টাইম ভিউ
হালনাগাদ : বুধবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২১

সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ক্যাপিটল হিলে হামলা চালানোর ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সমর্থকদের ৭০ হাজারেরও বেশি অ্যাকাউন্ট সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে টুইটার। সোমবার (১১ ডিসেম্বর) একটি ব্লগের মাধ্যমে একথা ঘোষণা করছে কর্তৃপক্ষ।

 

 

 

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাতে জানা যায়, ওই অ্যাকাউন্টগুলির মাধ্যমে গত সপ্তাহে ক্যাপিটল হামলার পটভূমি তৈরি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ জানিয়েছে টুইটার কর্তৃপক্ষ। ওয়াশিংটন ডিসিতে যে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেছে তার পিছনে ওই টুইটার অ্যাকাউন্টগুলির যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে বলে প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। এমনকি গত শুক্রবার থেকে আমেরিকার বিভিন্ন প্রান্তে যে হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে এর জন্য এখন পর্যন্ত ৭০ হাজারের বেশি টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়েছে।

 

 

 

এদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্টের অভিযোগ আনতে বদ্ধপরিকর হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। মার্কিন ক্যাবিনেট ও বিদায়ী ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সকে তিনি চাপ দিচ্ছেন সাংবিধানিক শক্তি প্রয়োগ করে ট্রাম্পকে পদচ্যুত করতে। পেলোসির বক্তব্য, ক্যাপিটল কাণ্ডের পরে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, গণতন্ত্রের প্রতি অত্যন্ত বিপজ্জনক ট্রাম্প। তার জেরে সোমবার হাউসে ডেমোক্র‌্যাটরা ট্রাম্পকে বরখাস্ত করতে প্রস্তাব পেশ করেছেন। ক্যাপিটল কাণ্ডে তাঁর বিরুদ্ধে ‘বিদ্রোহে প্ররোচনা’ দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, হামলার আগেই একটি সভায় ভাষণ দেন ট্রাম্প। তারই জেরে তাঁর সমর্থকরা উত্তেজিত হয়ে ক্যাপিটলে হিংসা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন।

তাই ট্রাম্পকে সরাতে বদ্ধপরিকর পেলোসি। সহকর্মীদের পাঠানো একটি চিঠিতে তিনি লিখেছেন, প্রথমে ভোটের মাধ্যমে ঠিক করতে হবে যে, পেন্সকে ২৫তম সংশোধনী প্রয়োগ করে ট্রাম্পকে সরতে বলা হবে কি না। তা না হলে চব্বিশ ঘণ্টা পরে ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট নিয়ে আইনি পথে যাবে মার্কিন হাউস। ভারতীয় সময়ে সোমবার রাত সাড়ে ন’টায় প্রস্তাব পেশ হয়। তবে হাউস রুলস চেয়ারম্যান জিম ম্যাকগভার্ন বলেছেন, ভোট আগামী বুধবার হবে বলে তাঁর ধারণা।

 

এদিকে, ট্রাম্পের পদত্যাগের দাবিও জোরদার হচ্ছে। দু’জন রিপাবলিকান সিনেটর বলেছেন, ক্যাপিটল তাণ্ডবের জেরে ট্রাম্পের এখনই পদত্যাগ করা উচিত। এঁরা, পেনসিলভেনিয়ার প্যাট টুমি এবং আলাস্কার লিসা মুর্কোস্কি। মার্কিন আইনপ্রণেতাদের অনেকের মতে, ট্রাম্পের প্রশাসনে প্রত্যাবর্তনের উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা উচিত। ক্যাপিটল কাণ্ডের জেরে ব্লু ক্রস, সিটিগ্রুপের মতো কর্পোরেট সংস্থা রিপাবলিকানদের আর্থিক সাহায্য বন্ধ করে দিচ্ছে।

 

সোমবার আবার হোয়াইট হাউস ওয়েবসাইটে মেলানিয়া ট্রাম্প লেখেন, ক্যাপিটল কাণ্ডে তিনি হতাশ এবং দুঃখিত। ‘এই দুঃখজনক ঘটনার প্রেক্ষিতে আমাকে ঘিরে গুজব রটেছে। আমাকে আক্রমণ করা হচ্ছে। এই সময়টা আমাদের দেশ ও নাগরিকদের নিরাময়ের সময়। এটাকে ব্যক্তিগত লাভের জন্য যেন ব্যবহার না করা হয়


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর