বাবরি মসজিদের স্থানে মন্দির নির্মাণ, বিশ্বের ইতিহাসে এক কলঙ্কজনক রায়
অনলাইন ডেস্ক:: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, ভারতের সুপ্রিমকোর্ট কর্তৃক ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদের স্থানে রাম মন্দির নির্মাণের রায় বিশ্বের বিচার বিভাগের ইতিহাসে এক কলংকজনক অধ্যায়। এএসআই-এর! ভুলেভরা একপেশে রিপোর্টের ভিত্তিতে ৪৬০ বছরের পুরোনো মসজিদ ভেঙ্গে মন্দির তৈরির সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক ও ন্যায় বিচারের পরিপন্থী। অবিলম্বে এ রায় বাতিল করতে হবে। অন্যথায় মুসলমানরা বাবরি মসজিদ অভিমুখে লংমার্চ করতে বাধ্য হবে।
মহাসচিব ইউনুছ আহমাদ তিনি আরও বলেন, এর পূর্বে তারা সুপ্রিমকোর্ট বলেছিলো, মন্দির ভেঙ্গে মসজিদ তৈরির কোন প্রমাণ নেই। অথচ তারাই মসজিদের স্থানে মন্দির নির্মাণের রায় দিচ্ছে। তারা একদিকে বলছে বিশ্বাসের ভিত্তিতে জমির মালিকানা নির্ধারণ করা যায় না। অন্যদিকে হিন্দুদের বিশ্বাসের ভিত্তিতে রাম মন্দির নির্মাণের কথা বলছে। এ রায় স্ববিরোধী। ১৯৪৯ সাল পর্যন্ত বাবরি মসজিদকে বৈধভাবেই মসজিদ হিসেবে বিবেচনা করা হতো এবং হিন্দুরা দেয়ালের বাহিরে পুঁজা করতো। অতএব এখানে মসজিদ নিশ্চিত আর মন্দির থাকাটা অনিশ্চিত। আর রায়ে নিশ্চিত বিষয়ের ওপর অনিশ্চিতকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে শুধু বিশ্বাসের ভিত্তিতে। এ রায় উগ্র হিন্দুত্ববাদকেই উৎসাহিত করবে। দুঃখজনকভাবে সুপ্রিম কোর্ট জমির মালিকানা নিয়ে রায় দিলেও মসজিদ ভাঙ্গার ফৌজদারী মামলা এখনও ঝুলে আছে। বরং যারা মসজিদ ভাঙ্গায় নেতৃত্ব দিয়েছে তাদের হাতেই মসজিদ তুলে দেওয়া হলো।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে বাবরি মসজিদের স্থানে রাম মন্দির নির্মাণের রায়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন। ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আব্দুল কাইয়ুম, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, মাওলানা এবি এম জাকারিয়া, মাওলানা আরিফুল ইসলাম, নূরুল ইসলাম নাঈম, মুফতী ফরিদুল ইসলাম, হুমায়ুন কবীর, এইচএম সাইফুল ইসলাম, ফজলুল হক মৃধা প্রমুখ
মাওলানা ইমতিয়াজ আলম বলেন, বাবরি মসজিদকে সরকার ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে এড়িয়ে যেতে চাচ্ছে। আমরা এর প্রতিবাদ জানাই। বাবরি মসজিদ মুসলমানদের ঈমানী ইস্যু। ন্যায়বিচার ও মানবাধিকারের সার্বজনীন ইস্যূ। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশ ও পার্শ্ববর্তী দেশ হিসেবে এ বিষয়ে নিষ্ক্রিয় থাকার সুযোগ নেই। সরকারকে অবশ্যই এ বিষয়ে সোচ্চার ভূমিকা পালন করতে হবে। পাশাপাশি ওআইসিসহ মুসলিম বিশ্ব এবং জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক বিশ্বকে এক্ষেত্রে যথোপযুক্ত ভূমিকা পালন করতে হবে