বাংলাদেশ থেকে খাদ্য ও ওষুধ সহায়তা চাইলো তুরস্ক
ভূমিকম্পকবলিত তুরস্ক বাংলাদেশ থেকে খাদ্য ও ওষুধ সহায়তা চেয়েছে। দেশটি নগদ অর্থ সহায়তা নেবে না।
বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকাস্থ তুর্কি দূতাবাসে সংবাদ সম্মেলনে এ সহায়তা চেয়েছেন দেশটির রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান তুরান।
রাষ্ট্রদূত জানান, ভূমিকম্পে এ পর্যন্ত তুরস্কে ১২ হাজার ৩৯০ জন লোক মারা গেছেন। ৬২ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। ছয় হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাংলাদেশের সহায়তা চাই আমরা।
তিনি বলেন, তুরস্কের ১০টি প্রদেশে ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ভূমিকম্পের পর বাংলাদেশ সরকার খুব দ্রুত সাড়া দিয়েছে। বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী শোকবার্তা পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশ পতাকা অর্ধনমিত রেখেছে। এতে আমরা চির কৃতজ্ঞ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ দ্রুত সহযোগিতার উদ্যোগ নিয়েছে। এটা অসাধারণ একটা বিষয়। বাংলাদেশ উদ্ধারকারী দলে ৪৩ জন বিশেষজ্ঞ পাঠাচ্ছে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তারা পৌঁছাবেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা বাংলাদেশ থেকে সহায়তা সামগ্রী নিতে চাই। আমাদেরকে শীতের কাপড়, ওষুধ, শুকনো খাবার ইত্যাদি সহায়তা দিতে পারেন। ঢাকার তার্কিশ কো-অপরেশন অ্যান্ড কো-অর্ডিনেশন এজেন্সি (টিকা) অফিস এসব সহায়তা নেবে। তারা এসব সামগ্রী তুরস্কে পাঠাবে।
তিনি জানান, টিকা অফিস কোনো নগদ অর্থ সহায়তা নেবে না। অন্য দেশে অর্থ সহায়তা গ্রহণ করা হলেও এটা বাংলাদেশ থেকে গ্রহণ করা হচ্ছে না। কেননা, এখানে আমাদের কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই। সে কারণ অর্থ পাঠাতে জটিলতা তৈরি হবে।
রাষ্ট্রদূত আরও জানান, অন্যান্য বিদেশি নাগরিকের হতাহতের খবর থাকলেও বাংলাদেশি কোনো নাগরিক আহত বা নিহত হয়েছেন কি না, এমন কোনো তথ্য দূতাবাসের কাছে নেই।
তুরস্কে সপ্তাহব্যাপী শোক ঘোষণার পাশাপাশি তিন মাসের জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে বলেও জানান রাষ্ট্রদূত।
তুর্কি রাষ্ট্রদূত জানান, ভয়াবহ ভূমিকম্পের ঘটনায় বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনকারী তুরস্কের সাবেক রাষ্ট্রদূত ডেভরিম ওজতুর্ক নিখোঁজ রয়েছেন। ২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিনি ঢাকায় দায়িত্ব পালন করেন।
তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলে আনাতোলিয়া এলাকায় ভূমিকম্পে নিখোঁজ রয়েছেন ডেভরিম ওজতুর্ক। তিনি সেখানে তুরস্কের পররাষ্ট্র দপ্তরের আঞ্চলিক অফিসে দায়িত্ব পালন করতেন। ভূমিকম্পের পর তার কোনো খোঁজ মেলেনি।
উল্লেখ্য, সোমবার ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তে শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। হতাহতদের উদ্ধারে
এখনও অভিযান চলছে।