পটুয়াখালীতে দূষন দখলের কবলে খাপড়াভাঙ্গা নদী
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মহিপুরে খাপড়াভাঙ্গা নদীর দুই তীর প্লাস্টিক-পলিথিনের দূষণে একাকার হয়ে গেছে। ১৭ কিলোমিটার দীর্ঘ এই নদী শিববাড়িয়া চ্যানেল হিসেবে পরিচিত। বর্তমানে বর্জ্যের পাশাপাশি পলির আস্তরণে এই নদীর অর্ধেকটা ভরাট হয়ে গেছে। স্থাণীয় জেলেরা জানিয়েছেন, আন্ধারমানিক নদীর প্রবেশদ্বারে বড় চর পড়েছে। ভাটার সময় খাপড়াভাঙ্গা নদীতে প্রবেশ করতে সমস্যা হয়।
সরেজিমন দেখা গেছে, নদীর দুই তীরে দখল ছাড়াও পলিথিন-প্লাস্টিকের দূষণে একাকার হয়ে গেছে। নদীকে বর্জ্যরে ভাগাড়ে পরিণত করছে জেলে, দোকানিসহ স্থানীয় লোকজন। আলীপুর-মহিপুর বন্দরের বাসীন্দাসহ শত শত দোকানি এই বন্দরের সকল বর্জ্য নদীতে ফেলছে। নদী তীরে জেলেরা ফেলছে ছেড়া-কাটা জালের টুকরা। ফেলা হয় পচা মাছ। সকল ধরনের আবর্জনা-ময়লা ফেলা হয় নদীতে। এখন নদী তীরে গেলে চোখে পড়ে শুধু ময়লা আবর্জনার পাশাপাশি প্লাস্টিক-পলিথিনসহ জালের ছেড়া-কাটা অংশ।
জানা যায়, সাগরের প্রবেশদ্বার থেকে শুরু হয়ে এই নদীটি মিশেছে রাবনাবাদ চ্যানেলের সঙ্গে। দুই দিক দিয়েই এই চ্যানেল দিয়ে সাগরে যাওয়া-আসা করা যায়। মৎস্যবন্দর আলীপুর-মহিপুর এই নদীর দুই তীরে দূর্যোগকালীন হাজার হাজার মাছ ধরার ট্রলার নিয়ে জেলেরা নিরাপদ আশ্রয় নেয়। এছাড়াও হাজার হাজার ট্রলার নিয়ে জেলেরা সাগরে আহরিত মাছ এই নদী তীরের বন্দরে বেচা-কেনা করে। মহিপুর বন্দর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ডাঃ খলিলুর রহমান জানান, তারা একটি নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা আবর্জনা ফেলার জন্য বলেছেন। কিন্তু অসচেতন দোকানিসহ জেলেরা যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলছে।
একাধিক স্থাণীয় বাসিন্দা জানিয়েছেন, দখল ও ভরাট রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে অতি খাপড়াভাঙ্গা নদীটি জেলেরা আর দূর্যোগকালীন আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে না। জেলেদের মাছ বেচা-কেনা বন্ধ হয়ে যাবে।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার শংকর চন্দ্র বৈদ্য বলেন, মহিপুর-আলীপুর বন্দর ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দকে এবিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যাতে নদী তীরে কোন ধরনের বর্জ্য ফেলা না হয়।