শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৪৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট
বরিশালের নতুন জেলা প্রশাসক খায়রুল আলম সুমন বরিশালের নতুন বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান র‌্যাঙ্কিংয়ে এগোতে ক্যারিবীয় সিরিজে বাংলাদেশকে যা করতে হবে জুলাই সনদ স্বাক্ষরের আগে ভাঙচুর-আগুন, ৯০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা ‘জুলাই সনদে স্বাক্ষরকারীরা গণঅভ্যুত্থান ও জনগণ থেকে ছিটকে গেছে’ জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছেন যেসব নেতা জুলাই সনদ স্বাক্ষর করলেন প্রধান উপদেষ্টা ও রাজনৈতিক নেতারা জুলাই সনদের দিকনির্দেশনা ভবিষ্যৎ বাংলাদেশকে পরিচালনা করবে : আলী রীয়াজ গণঅভ্যুত্থানের ফসল ‘জুলাই সনদ’, নবজন্মের পথে বাংলাদেশ : ড. ইউনূস ক্যান্সার দূরে রাখার ৬ উপায়

পটুয়াখালীতে দূষন দখলের কবলে খাপড়াভাঙ্গা নদী

রিপোর্টারের নাম / ২৩৭ টাইম ভিউ
হালনাগাদ : সোমবার, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মহিপুরে খাপড়াভাঙ্গা নদীর দুই তীর প্লাস্টিক-পলিথিনের দূষণে একাকার হয়ে গেছে। ১৭ কিলোমিটার দীর্ঘ এই নদী শিববাড়িয়া চ্যানেল হিসেবে পরিচিত। বর্তমানে বর্জ্যের পাশাপাশি পলির আস্তরণে এই নদীর অর্ধেকটা ভরাট হয়ে গেছে। স্থাণীয় জেলেরা জানিয়েছেন, আন্ধারমানিক নদীর প্রবেশদ্বারে বড় চর পড়েছে। ভাটার সময় খাপড়াভাঙ্গা নদীতে প্রবেশ করতে সমস্যা হয়।

 

সরেজিমন দেখা গেছে, নদীর দুই তীরে দখল ছাড়াও পলিথিন-প্লাস্টিকের দূষণে একাকার হয়ে গেছে। নদীকে বর্জ্যরে ভাগাড়ে পরিণত করছে জেলে, দোকানিসহ স্থানীয় লোকজন। আলীপুর-মহিপুর বন্দরের বাসীন্দাসহ শত শত দোকানি এই বন্দরের সকল বর্জ্য নদীতে ফেলছে। নদী তীরে জেলেরা ফেলছে ছেড়া-কাটা জালের টুকরা। ফেলা হয় পচা মাছ। সকল ধরনের আবর্জনা-ময়লা ফেলা হয় নদীতে। এখন নদী তীরে গেলে চোখে পড়ে শুধু ময়লা আবর্জনার পাশাপাশি প্লাস্টিক-পলিথিনসহ জালের ছেড়া-কাটা অংশ।

জানা যায়, সাগরের প্রবেশদ্বার থেকে শুরু হয়ে এই নদীটি মিশেছে রাবনাবাদ চ্যানেলের সঙ্গে। দুই দিক দিয়েই এই চ্যানেল দিয়ে সাগরে যাওয়া-আসা করা যায়। মৎস্যবন্দর আলীপুর-মহিপুর এই নদীর দুই তীরে দূর্যোগকালীন হাজার হাজার মাছ ধরার ট্রলার নিয়ে জেলেরা নিরাপদ আশ্রয় নেয়। এছাড়াও হাজার হাজার ট্রলার নিয়ে জেলেরা সাগরে আহরিত মাছ এই নদী তীরের বন্দরে বেচা-কেনা করে। মহিপুর বন্দর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ডাঃ খলিলুর রহমান জানান, তারা একটি নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা আবর্জনা ফেলার জন্য বলেছেন। কিন্তু অসচেতন দোকানিসহ জেলেরা যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলছে।

 

একাধিক স্থাণীয় বাসিন্দা জানিয়েছেন, দখল ও ভরাট রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে অতি খাপড়াভাঙ্গা নদীটি জেলেরা আর দূর্যোগকালীন আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে না। জেলেদের মাছ বেচা-কেনা বন্ধ হয়ে যাবে।

 

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার শংকর চন্দ্র বৈদ্য বলেন, মহিপুর-আলীপুর বন্দর ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দকে এবিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যাতে নদী তীরে কোন ধরনের বর্জ্য ফেলা না হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর