বরিশালে ভর্তি বাতিল হওয়া শিক্ষার্থীদের আসনে অপেক্ষমান তালিকা থেকে নেয়ার দাবি
বরিশাল: বরিশাল সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে ২০২৩ সালের তৃতীয় শেণির ভর্তি বাতিল হওয়া শিক্ষার্থীদের শূন্য কোটার বিপরীতে অপেক্ষমান তালিকা থেকে ক্রমিক নাম্বার অনুসারে ভর্তির আবেদন জানিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন অভিভাবকরা।
মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে তৃতীয় শ্রেণির ভর্তির অপেক্ষমান তালিকায় থাকায় শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে গিয়ে জেলা প্রশাসক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেনের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন।
স্মারকলিপির বিষয়টি অবগত হয়ে জেলা প্রশাসক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন বিষয়টি দেখবেন বলে অভিভাবকদের জানিয়েছেন।
স্মারকলিপির বরাত দিয়ে অপেক্ষমান তালিকায় থাকা শিক্ষার্থীর অভিভাবক রাজিয়া বেগম বলেন, গত বছরের ১২ ডিসেম্বর বরিশাল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০২৩ সালেল তৃতীয় শ্রেণির ভর্তির লটারির ফলাফল প্রকাশিত হয়। নির্বাচিতদের মেধা ও অপেক্ষমান তালিকায় রাখা হয়।
তিনি বলেন, মেধা তালিকার ছাত্রীদের উভয় শাখায় ভর্তি করানোর পর গত ৪ ও ৫ জানুয়ারি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত সংবাদে জানতে পারি আবেদনে জালিয়াতির কারনে বরিশালের বিভিন্ন সরকারি বিদ্যালয়ে ১৩২ জন শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করা হয়েছে। আর ভর্তি বাতিল হওয়া আসনগুলোতে অপেক্ষমান তালিকায় থাকা শিক্ষার্থীদের ভর্তি করানো হবে। যাতে বিদ্যালয় প্রধানগণসহ ভর্তি কমিটি ও শিক্ষা দফতরের অনেকের বক্তব্য ছিলো।
অপেক্ষমান তালিকায় থাকা অপর এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক ইমরান মাহবুব বলেন, এই মোতাবেক গত ৫ জানুয়ারি বরিশাল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে নোটিশ বোর্ডে ভর্তি বাতিলকৃত প্রভাতী ও দিবা শাখার মোট ৫৯ শিক্ষার্থীর তালিকা আমরা দেখতে পাই। যার ধারাবাহিকতায় ভর্তি সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে আমাদের সন্তানদের ভর্তির নতুন সম্ভাবনা দেখতে পাই। আর তাদের কথায় সন্তানদের নতুন বিদ্যালয়ে ভর্তি না করে অপেক্ষা করতে থাকি। কিন্তু বছরের পহেলা মাস জানুয়ারি শেষ হলেও অপেক্ষমান তালিকা থেকে ওই শূণ্য আসনে শিক্ষার্থীদের ভর্তি না করিয়ে সাধারণ কোটার বাহিরে অতিরিক্ত ৫% সহোদর/যমজ কোটার শিক্ষার্থীদের ভর্তি করানো নিয়ে কর্তৃপক্ষ ব্যস্ত হয়ে পরে।
অভিভাবকদের দাবি, সহোদর কোটায় যারা ভর্তি হচ্ছে বা হয়েছে তারা মূলত লটারি প্রক্রিয়ার বাহিরে ছিলো। যদিও সরকারি ও ভর্তি কমিটির নির্দেশনা ও সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে বলে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দাবি করেছেন।