বরিশালে প্রথমবারের মতো টোটাল ফিটনেস দিবস পালিত
‘সুস্থ্য দেহ প্রশান্ত মন কর্মব্যস্ত সুখী জীবন’ এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে বরিশালে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের আয়োজনে বরিশালে প্রথমবারের মতো টোটাল ফিটনেস দিবস পালিত হয়েছে।
শুক্রবার (৬ জানুয়ারী) সকাল ৮টায় নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে প্রথমবারের মতো এ দিবসটি উদযাপন করা হয়েছে। দিবসটি পালনের মূল উদ্দেশ্য টোটাল ফিটনেস নিয়ে মানুষের ভেতর যথাযথ সচেতনতা তৈরি করা। কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন গত তিন দশক ধরে এ নিয়ে কাজ করছে। একজন মানুষের ভালো থাকা মানে সব দিক থেকেই ভালো থাকা। সব দিক মানে শারীরিক, মানসিক, সামাজিক ও আত্মিক ।
দুই শতাধিক মানুষের অংশগ্রহনে অনুষ্ঠানে ছিল প্রাণায়াম,মেডিটেশন,জীবনধর্মী আলোচনা,যোগ ব্যায়াম, শরীর ব্যালেন্স টেস্ট ও সচেতনতামূলক বুলেটিন বিতরন।
ঘন্টাব্যাপী এ কার্যক্রমে বীর মুক্তিযোদ্ধা বজলুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী সালাহউদ্দিন,বীর মুক্তিযোদ্ধা এ এম জি কবির ভুলু, শেবাচিম এর গাইনী বিভাগের অধ্যাপক ডাঃ হাওয়া আক্তার জাহান, ডাঃ সাবরিনা সুলতানা, বরিশাল মহিলা কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোফাজ্জল সারোয়ার, ঝালকাঠি মহিলা কলেজের রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জসীম উদ্দিন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. প্রফেসর মোঃ মহসিন উদ্দিন,কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনে বরিশাল শাখার পরিচালক ফয়সাল মাহমুদ সহ বিভিন্ন পেশা ও শ্রেনীর মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
সারাদেশের একশো’রও বেশী ভেন্যুতে পালিত হয় এ দিবসটি। তারা ধারাবাহিকতায় একই সাথে একই সময়ে বরিশালেও এ দিবসটি পালন করলো কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন। এ বছরের ন্যায় প্রতি বছর জানুয়ারি মাসের প্রথম শুক্রবার টোটাল ফিটনেস দিবস পালন করবে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন।
কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের মতে, ফিটনেসের চারটি শাখা। শারীরিক, মানসিক, সামাজিক ও আত্মিক। এই চারটি নিয়েই টোটাল ফিটনেস। করোনা মহামারীর সময় থেকে মানুষের ফিটনেসের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে বহুগুণ। সুস্থ জীবনাচার,সঠিক খাদ্যাভ্যাসের উপর একজন মানুষের শারীরিক ও মানসিক ফিটনেস নির্ভর করে।
শারীরিক ফিটনেস মানে সুস্থ থাকা, নিরোগ থাকা এবং অবশ্যই কর্মক্ষম থাকা। মানসিক ফিটনেস মানে রাগ, ক্ষোভ, ঘৃনা, ঈর্ষা, লোভ,স্ট্রেস থেকে মুক্ত হয়ে সব সময় প্রশান্ত থাকা। শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য মেডিটেশন এবং যোগব্যায়ামের কোন বিকল্প নেই। সারা বিশ্বের মত বাংলাদেশেও এখন লক্ষ লক্ষ মানুষ শারীরিক ও মানসিক ফিটনেসের জন্য মেডিটেশন এবং যোগব্যায়াম করছেন। এর পরই আসে সামাজিক ফিটনেস। সামাজিক ফিটনেস মানে হলো সকলের সাথে মিলেমিশে থাকার যোগ্যতা।অন্যকে ক্ষমা করতে পারা,অন্যের বেদনায় সমব্যথী হওয়া এবং সকল সৃষ্টির সেবা করতে পারাটা আত্মিক ফিটনেসের প্রমান । এই চারটি ফিটনেস যখন মানুষ অর্জন করতে পারে তখন সে সুস্বাস্থ্য, সাফল্য, প্রাচুর্য ও প্রশান্তিতে অবগাহন করতে পারে।