বরিশালের সাত লাখ পরিবার পাচ্ছে ১০ টাকা কেজি দরের চাল
বিভাগের ছয় জেলার ৪২টি উপজেলার প্রায় সাত লাখ পরিবারের মাঝে ১০ টাকা কেজি দরে চলতি মার্চ ও আগামী মাসে প্রায় ৩০ হাজার টন চাল বিক্রির কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
এর বাহিরে ওএমএস কার্যক্রমের আওতায় নগরী ছাড়াও বরিশাল অঞ্চলের প্রায় ২৫টি পৌর এলাকায় ৩০ টাকা কেজি দরের চাল ও ১৮ টাকা কেজি দরের আটা বিক্রি কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এ লক্ষ্যে নগরীতে ১৯জন এবং অন্য পৌর এলাকার ডিলারগণ প্রতিদিন দুই টন করে চাল এবং এক টন করে আটা বিক্রি করছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান মার্চ এবং এপ্রিল মাস ছাড়াও আগামী অক্টোবর, নবেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে সারাদেশের মতো দক্ষিণাঞ্চলের ছয় জেলার প্রায় সাত লাখ পরিবার ১০ টাকা কেজি দরে মাসে ৩০ কেজি করে চাল পাবেন।
পাশাপাশি ওএমএস কার্যক্রম আরো সম্প্রসারনের কথাও বলা হয়েছে বাজার পর্যবেক্ষকদের পক্ষ থেকে। বর্তমানে নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে একজন করে ডিলার নিয়োগের কথাও বলা হয়েছে।
পাশাপাশি বিভাগের পৌর এলাকাগুলোতেও দুটি ওয়ার্ডের জন্য একজন করে ডিলার নিয়োগের কথা জানিয়েছেন বাজার পর্যবেক্ষকগন।
অপরদিকে আসন্ন রমজানকে সামনে রেখে রোজার আগে ও মাঝামাঝি সময়ে দুই দফায় দক্ষিণাঞ্চলের সাড়ে তিন লাখ পরিবার ভর্তূকি মূল্যে টিসিবি’র মাধ্যমে খাদ্য পণ্য পাবেন বলে জানিয়েছে বরিশালের বিভাগীয় প্রশাসন।
বর্তমানে নগরীর বাহিরে বরিশাল জেলার ১০টি উপজেলার ১ লাখ ৬০ হাজার ৭৩৬ টি পরিবার ১০ টাকা কেজি দরে চাল কেনার সুবিধা পাচ্ছেন।
অনুরূপভাবে পটুয়াখালীতে ১ লাখ ১৮ হাজার ৯১৩, ভোলায় ৮৩ হাজার ৪৩৭, পিরোজপুরে ৩৫ হাজার ৮০৯, বরগুনায় ৫৫ হাজার ৮০৪ এবং ঝালকাঠীতে ৩২ হাজার ১৪০টি পরিবার এ সুবিধার আওতায় রয়েছেন।
জনসংখ্যার অনুপাতসহ আর্থ-সামাজিক অবস্থার বিবেচনায় ১০ টাকা কেজি দরে চাল সংগ্রহের কার্ড প্রদান করা হয়ে থাকে বলে খাদ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে। এজন্য ইউনিয়ন পর্যায়ে ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে বাছাই ও তদারকি কমিটি কাজ করে থাকে।
দক্ষিণাঞ্চলের বাজারে বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের দাম এখন সাম্প্রতিক বছরগুলোর তুলনায় সর্বোচ্চ পর্যায়ে। চালের কেজি সর্বনিন্ম এখন ৪০ টাকা।