বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭
সুন্দরবন উপকূলে বঙ্গোপসাগরে ১৮ ট্রলারডুবির ঘটনায় আরও দুই জেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে সাত জেলের মরদেহ উদ্ধার হলো। নিখোঁজ রয়েছেন আরও সাতজন।
বঙ্গোপসাগরের দুবলার চর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে সাগর থেকে মঙ্গলবার দুপুরের দিকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।
বাগেরহাট পূর্ব বন বিভাগের দুবলা শুঁটকি পল্লি টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রহ্লাদ চন্দ্র রায় এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
উদ্ধার হওয়া মৃতরা হলেন বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার বগা গ্রামের ৪২ বছর বয়সী রুহুল হাওলাদার ও ভাষা গ্রামের ৪০ বছরের শহিদুল মল্লিক।
প্রহ্লাদ চন্দ্র রায় বলেন, ‘সাগরের মাছ ধরতে যাওয়া জেলেরা দুপুরের দিকে দুবলার চর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে বঙ্গোপসাগরে দুটি মরদেহ ভাসতে দেখেন। পরে তাদের সহায়তায় বনবিভাগ ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা মরদেহগুলো উদ্ধার করেন।’
বিকেল ৩টার দিকে মরদেহ দুটি তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তার তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার রাতে বঙ্গোপসাগরের দুবলার চর থেকে ২৫ নটিক্যাল মাইল গভীর সাগরে মাছ আহরণে থাকা ১৮টি ট্রলার ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে যায়।
পরে রাত থেকেই কোস্টগার্ড, বন বিভাগ ও জেলেরা উদ্ধার অভিযান শুরু করেন। শনিবার দুপুর পর্যন্ত শতাধিক জেলেকে উদ্ধার করা হয়।
এদিন সন্ধ্যায় দুবলার চরের দক্ষিণে ডুবোজাহাজ চর এলাকা থেকে মামুন শেখ ও শেখ ইসমাইল হোসেন নামের দুই জনের মরদেহ উদ্ধার করেন জেলেরা।
এরপর রোববার রাতে ও সোমবার সন্ধ্যায় বঙ্গোপসাগরের নীলাবয়া ও সোমবার দুপুরে সুন্দরবনের আলোরকোলসংলগ্ন বঙ্গোপসাগর থেকে আরও তিন জেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
তাদের মধ্যে কচুয়া উপজেলার বগা গ্রামের ইয়াকুব আলী বাওয়ালী ও আন্ধারমানিক গ্রামের আনোয়ার হোসেন বাদলের পরিচয় জানা গেলেও অপরজনের নাম জানা যায়নি।
টহল ফাঁড়ির এ কর্মকর্তা জানান, ট্রলারডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত সাত জেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন আরও সাত জেলে। ডুবে যাওয়া ১৮টি ট্রলারের মধ্যে সুন্দরবনের দুবলার জেলে পল্লির দুটি ও অন্যান্য জেলার পাঁচটিসহ মোট সাতটি মাছ ধরা ট্রলারের সন্ধান এখনও মেলেনি।
তবে ঘটনার পর বাংলাদেশ ফিশিং বোট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তফা চৌধুরী জানিয়েছিলেন, ঝড়ের কবলে ট্রলার ডুবেছে ৩২টি। এর মধ্যে ১২টি বরগুনার। বাকি ২০টি বাগেরহাট ও পিরোজপুর এলাকার।